অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য’—এ রূপকল্প সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে খাদ্যের বিশুদ্ধতা ও বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা। এবার প্রতিষ্ঠানটি মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে টোল ফ্রি হটলাইন চালু করেছে। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য–সম্পর্কিত তথ্য জানা কিংবা খাদ্যের মান নিয়ে যেকোনো অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকবে।
১৬১৫৫—এই নম্বরে ফোন করে খাদ্য–সম্পর্কিত যেকোনো পরামর্শ বা অভিযোগ জানানো যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এ নম্বর খোলা থাকছে। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে ২ ফেব্রুয়ারি এ হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি দেশের সব মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। জনগণের সঙ্গে সংস্থার সরাসরি যোগাযোগের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। যে কেউ যেন দেশের যেকোনো জায়গা থেকে এ–সংক্রান্ত তথ্য জানতে কিংবা অভিযোগ ও পরামর্শ জানাতে পারেন, সে জন্য হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২১ সালের ১ জুলাই শুরু হওয়া ৪ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পটির অধীন হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
প্রকল্পের পরিচালক ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক অমিতাভ মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, “নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি দেশের সব মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। জনগণের সঙ্গে সংস্থার সরাসরি যোগাযোগের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। যে কেউ যেন দেশের যেকোনো জায়গা থেকে এ–সংক্রান্ত তথ্য জানতে কিংবা অভিযোগ ও পরামর্শ জানাতে পারেন, সে জন্য হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।”
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ১৬১৫৫ হটলাইন নম্বরের কল সেন্টারে দুই পালায় ছয়জন দায়িত্ব পালন করেন। কল সেন্টারে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের নিরাপদ খাদ্যসংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কল সেন্টারের জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে ১৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়েছে। কোনো সেবাপ্রত্যাশী ফোন দিয়ে বিশেষ কোনো তথ্য জানতে চাইলে এই প্যানেলের সদস্যরা সেটার উত্তর দিচ্ছেন।
হটলাইন নম্বরে ফোন করা থেকে প্রতিনিধির ফোন ধরা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগে মাত্র ৪৫ সেকেন্ডের মতো।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের অধীন এ হটলাইন চালু ছাড়াও খাদ্যে ভেজাল রোধে ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার (মোবাইল ল্যাবরেটরি) চালু, খাদ্যের নমুনা বিশ্লেষণের জন্য সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ছোট আকারের একটি গবেষণাগার স্থাপন, অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট খাদ্য ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ, দেশের খাদ্য স্থাপনা, রেস্তোরাঁ ও বাজারের হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ ও নজরদারির জন্য তথ্যভান্ডার তৈরি এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply